অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনার পিতা, ৭৫’র গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বাকশালের মহানায়ক খ্যাত শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবার খুব বড়সড় করে পালন করবে ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে ২০২০ সালকে বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। গত ১০ জানুয়ারি মুজিব বর্ষের কথিত ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের নামে রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে ক্ষমতাসীন সরকার।
এই মুজিব বর্ষ পালনের উদ্দেশ্য তার শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস এদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা। যা ইতিমধ্যে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আলোর অবয়বে শেখ মুজিবের ফিরে আসা সাধারণ মানুষের মনে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা বলছে, ৭৫-এর পর বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। তাই মুজিব বর্ষ কে মানলো বা কে মানলো না তাই নিয়ে আমরা বসে থাকবো না। ২৯৮টি কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ পালন করবে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, মুজিববর্ষ নামে রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করার অর্থ কি? স্বাধীনতার পর থেকে সকল অরাজকতার সূচনা করেছিলো শেখ মুজিব। নতুন প্রজন্ম কি মুজিব বর্ষে সৈরাচারের ইতিহাস জানবে? বিশেষ করে ৭২-৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত শেখ মুজিবের আমলে বাংলাদেশে যেসব মানবাবিরোধী অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল সবগুলোরই নেতৃত্বে ছিল শেখ মুজিব, তার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা। ওই সময়ের সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন কথা এখনো মানুষ ভুলতে পারেনি। শেখ মুজিব ও তার পরিবারের নাম এদেশের মানুষ তাদের অন্তর থেকে মুছে ফেলেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আইন করে মানুষকে মুজিবের নাম মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে বাধ্য করছে।
ইতিহাসের বলছে, শেখ মুজিব শুধু একজন গণতন্ত্র হত্যাকারীই ছিলেন না, তিনি একজন ষড়যন্ত্রকারী, দখলদার ও সন্ত্রাস রাজ্যের গডফাদার ছিল।মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য শেখ মুজিবের ছাত্রজীবন ও শাসনামলের ১৫টি ঘটনার শিরোনাম তুলে ধরা হলো:
১) ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টারকে বাথরুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল শেখ মুজিব।
২) ১৯৫৬ সালে আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি শামসুল হক কে দল ছাড়া, পরিবার ছাড়া ও দেশ ছাড়া করেছিল শেখ মুজিব।
৩) ১৯৫৬ সালে আতাউর রহমান খানের যুক্তফ্রন্ট সরকার কে বিপাকে ফেলেছিল শেখ মুজিব।
৪) ১৯৫৬ সালে আজাদ সিনেমা হলে মওলানা ভাসানীর সম্মেলনে হামলা চালিয়েছিল শেখ মুজিব।
৫) ১৯৫৮ সালে ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলিকে সংসদে পিটিয়ে হত্যা করেছিল মুজিবের বাহিনী।
৬) ১৯৭০ সালে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত মওলানা মওদুদী রহমা সভায় হামলা চালিয়েছিল শেখ মুজিবের ভাড়াটিয়া গুন্ডা। ইতহাস বলছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে জোটমেল শ্রমিকদেরকে ভাড়া করে এনেছিল হামলা চালানোর জন্য।
৭) স্বাধীনতার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাসদের ৭জন মেধাবী ছাত্রকে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে খুনের রাজনীতি সূচনা করেছিল শেখ মুজিব। অভিযোগ রয়েছে-সেই প্রতিশোধ নিতেই জাসদের লোকজন শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
৮) ১৯৭৩ সালে পাবনা জেলখানা থেকে ৫জন কে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল মুজিব বাহিনীর লোকজন। এদেশে তখন থেকেই জেলহত্যার সূচনা হয়। ৭৫’র ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা ছিল মূলত আগেরটার ধারাবাহিকতা।
৯)৭২-৭৪ পত্রিকায় প্রকাশিত জাসদের ৩০হাজার নেতাকর্মী কে হত্যা করেছিল শেখ মুজিবের লোকজন।
১০) জাসদ নেতা শিরাজ শিকদারকে হত্যার মাধ্যমে বিচার বিহীন হত্যার সূচনা করেছিল শেখ মুজিব। তার কন্যা শেখ হাসিনাও এখন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।
১১) ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ছিল মূলত আওয়ামী লীগের লোকজনের লুটপাটের কারণে। তারা দেশে কৃত্রিম দূর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল।
১২) কাপড়ের অভাবে বাসন্তীর জাল জড়িয়ে লজ্জা নিবারনের ঐতিহাসিক ছবিটি তখন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল ।
১৩) ১৯৭৪ সালের ২৫ চৈত্র ‘ইত্তেফাক’ শিরোনাম হয়েছিল, তিন হাজার কোটি টাকার বিদেশী সাহায্য কোথায় গেল। শেখ মুজিবের লুটপাটের সেই ধারাবাহিকতা তার কন্যা শেখ হাসিনা আজ অব্যাহত রেখেছে।
১৫) আর শেখ মুজিব এদেশের মানুষের বেশি পরিচিত ছিল গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে। দেশের সবদল নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সংসদে দাড়িয়ে শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘১৭ মিনিটে আইন পাশ, বাক স্বাধীনতার গলায় ফাঁস’।